সহজে রান্নার ১০ টিপস
রান্নার কাজটি অনেকের কাছেই ঝামেলার বলে মনে হয়। তবে ছোটখাটো কিছু বিষয়ে নজর দিলে তা খুবই সহজ হয়ে উঠতে পারে। স্বাচ্ছন্দ্যেই সমাধা করতে পারেন নৈমিত্তিক এই কাজটি। শুধু মানতে হবে নিচের টিপসগুলো:
২. অযান্ত্রিক ব্লেন্ডার ব্যবহার করুন। বৈদ্যুতিক ব্লেন্ডার কাজ সহজ করে দেবে বলে আপনার ধারণা। কিন্তু এটি সবসময় সত্য নয়। মাঝে মধ্যে অবৈদ্যুতিক ব্লেন্ডার ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।
৩. হাতের কাছে ছোট ছাঁকনি রাখুন। এটি সময় বাঁচিয়ে দেবে অনেকখানি। যে কোনো সময় হাতের কাছে ছাঁকনি দিয়ে লেবু বা অন্য কিছু খাবারে যোগ করতে পারেন।
৪. একই রকম ছোট ছাঁকনি ব্যবহার করা যেতে পারে ডিমের জন্যও। সঠিক আকারের ওমলেট করার জন্য এটি খুবই সহায়ক।
৫. রান্না একটি শিল্প। কাজটি করার জন্য তাই প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন। যেমন: রান্নার জন্য চারটি পেঁয়াজ প্রয়োজন হলে শুরুতেই তা ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে রাখতে পারেন। এতে রান্না শুরুর পর অনেক সময় বাঁচবে।
৬. রান্নাঘরে ময়লার ঝুড়ি থাকা উচিত। হাতের কাছেই আবর্জনা ফেলার বাক্স বা ট্র্যাশ বিন থাকলে খুব সহজেই রান্নাঘর পরিষ্কাসহজে রান্নার ১০ টিপসর রাখা যায়। এতে কাজও অনেকটা কমে যাবে।
৭. তরল খাবার খুব বেশি ঠাণ্ডায় রাখবেন না। এ কথা ঠিক যে খাবার টাটকা রাখতে হলে রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করতেই হবে। তবে রান্নার সুবিধার জন্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় খাবার ঠাণ্ডা রাখা ভালো। কারণ একদম কঠিন বরফকে গলিয়ে খাবারে যোগ করা একই সঙ্গে কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ। তাই সুবিধার্থেই খাবারকে খুব বেশি কঠিন অবস্থায় রাখবেন না।
৮. মাংস ফ্রিজে রাখা হলে তা কঠিন অবস্থা ধারণ করে। রান্নার উপযোগী করতে অনেকে তা পানির নিচে রাখেন। তবে পানির অপচয় রোধে এবং কাজটিকে আরো সহজ করতে অ্যালুমিনিয়ামের ট্রে ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালুমিনিয়াম খুব তাড়াতাড়ি তাপ শোষণ করতে পারে। এতে বরফ অবস্থার মাংস রাখলে খুব সহজে ও অল্প সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
৯. ছুরি রান্নার একটি অপরিহার্য যন্ত্র। তাই সবসময় তা ধারালো রাখা প্রয়োজন। কারণ ধারালো না হলে কাজ করতে খুবই অসুবিধা হবে। তাই কাজ শুরুর আগে ছুরি কতটা ধারালো, তা পরীক্ষা করে নিন। নতুবা রান্নার সময় অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে।
১০. মিটবল কিংবা মিটলোফ কাঙ্ক্ষিত আকারে আনার পূর্বে একটু টেস্ট করে দেখুন সব ঠিক আছে কিনা। কোনো উপাদান পরিমাণে কমবেশি হলে প্রয়োজনমতো তা ঠিক করে নিন। একবার কাঙ্ক্ষিত আকারে আনার পর কোনো উপাদানের পরিমাণ ঠিক করতে হলে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।